এমএস ওয়ার্ড এর কাজ | MS Word Tutorial in Bengali

আসসালামু আলাইকুম ! আমাদের আজকের এই টিউটোরিয়াল আপনাকে স্বাগতম। আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন।

আমাদের এই পোস্টে আপনারা আজ যে, বিষয়ে জানতে পারবেন। সেটি হচ্ছে, microsoft office (এমএস ওয়ার্ড এর কাজ সম্পর্কে)।

আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর পাশাপাশি। এক্সেল এর কাজ সূত্র সহ বাংলা ভাষায় শিখতে পারবেন।

এমএস ওয়ার্ড এর কাজ | MS Word Tutorial in Bengali

তবে, আজকের এই পোস্টে শুধুমাত্র এম এস ওয়ার্ড এর কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এর পরবর্তী আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে। এমএস এক্সেল এর কাজ সম্পর্কে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কি ? এমএস ওয়ার্ড কি ?


এমএস ওয়ার্ড হলো একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। যা মাইক্রোসফট দ্বারা পরিচালিত। 

মাইক্রোসফট অফিস ১৯৯৮ সালে মাল্টি টল ওয়ার্ড নামে, জেনিক্স সিস্টেমের জন্য প্রথম লঞ্চ করা হয়েছিল। 
তার পরবর্তী সময়ে, ১৯৯০ সালে, সাধারণ জনগণের ব্যবহারের জন্য এটি বাজারে ছাড়া হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হিসেবে। 

মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড এর বিভিন্ন ভার্সন লঞ্চ করা হয়েছে। 

যেমন-
  • এমএস ওয়ার্ড ২০০৩
  • এমএস ওয়ার্ড ২০০৭
  • এম এস ওয়ার্ড ২০১০
  • এমএস ওয়ার্ড ২০১৫ ইত্যাদি। 
বর্তমান সময়ে, উপরোক্ত তালিকায় থাকা এম এস ওয়ার্ড ভার্সন গুলো চলমান রয়েছে। এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে, এম এস ওয়ার্ড এর কাজ সম্পাদন করা হয়। 


মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কাজ কি ?


এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে এম এস ওয়ার্ড এর কাজ কি? তো তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, এম এস ওয়ার্ড এর মূল কাজ হলো ডাটা টাইপিং। 

এম এস ওয়ার্ডে আপনারা যে কোন ভাষায় লেখালেখি করতে পারবেন। বিশেষ করে, আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এমএস ওয়ার্ড এর কাজ করেন। 

সেক্ষেত্রে ইংরেজি এবং বাংলা টাইপিং করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এম এস ওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনারা লেখালেখির যে, কোন কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। 

যেমন- জীবন বৃত্তান্ত/ সিভি, প্রত্যয়ন পত্র, দলিল টাইপিং এ ছাড়া অফিসিয়াল যাবতীয় টাইপিং কাজ করে প্রিন্ট করতে পারবেন। 

এমএস ওয়ার্ড এর মাধ্যমে লেখালেখির কাজ করার পাশাপাশি। আপনারা ভালো ভালো ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন। 

বিশেষ করে, জনপ্রিয় ডিজাইনের মাধ্যমে আপনারা এমএস ওয়ার্ড ব্যবহার করে, বিভিন্ন বই তৈরি করতে পারবেন। স্কুল ও কলেজের পরীক্ষার প্রশ্ন, রুটিন ইত্যাদি কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। 

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে এমএস ওয়ার্ডের কাজ প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ কাজ বাংলা ভাষায় করা হয়। 

বিশেষ করে সরকারি যে অফিসগুলোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তারা বেশিরভাগ কাজগুলো বাংলা ভাষায় করেন। 

তাই টাইপিং এর যত ধরনের কাজ রয়েছে, তার সব কিছুই এমএস ওয়ার্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। 

এছাড়া, আপনি যদি কম্পিউটার টাইপিং এর দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে, একটি কম্পিউটার দোকান দিয়ে, এম এস ওয়ার্ডে লেখালেখি করে, ভালো টাকা উপার্জন করার সুযোগ পাবেন। 

এছাড়া, বর্তমান ডিজিটাল দেশ হওয়ায়, প্রতিটি শিক্ষার্থী এখন নিজের ঘরে বসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে পড়াশোনা করেন। 

তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য, এমএস ওয়ার্ডের কাজ গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

তো চলুন, এমএস ওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া যায়। কিভাবে আপনারা এমএস ওয়ার্ড এর মাধ্যমে কাজ করবেন। সে বিষয়ে জানতেও তথ্যগুলো শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করুন। 

আমরা এখানে বাংলা ভাষায় আপনাকে এমএস ওয়ার্ড এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিয়ে দিব। যা অনুসরণ করতে পারলে, আপনারা নিজের ঘরে বসেই এম এস ওয়ার্ড এর কাজ শিখে নিতে পারবেন।

বিশেষ করে, আপনাকে টাকা খরচ করে অন্য কোথাও শিখার জন্য টাকা প্রদান করতে হবে না। 

এমএস ওয়ার্ডের পরিচয় 


তো চলুন এমএস ওয়ার্ড এর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে নেয়া যাক। এম এস ওয়ার্ডে লেখালেখি কাজ করার সময় বিভিন্ন ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করতে হবে। 

তো আমরা আগেই বলেছি, এম এস ওয়ার্ডে লেখালেখি করার পাশাপাশি আরো অন্যান্য বিভিন্ন ডিজাইনিং কাজগুলো খুব সহজেই নিজের ঘরে বসে করতে পারবেন। 


তাই আপনাকে জানতে হবে, কোন কোন ক্যাটাগরি নিয়ে কি কি কাজ করতে হয়। এম এস ওয়ার্ডে যে, ক্যাটাগরির রয়েছে। সেই প্রতিটি মেনুর সাথে আপনাকে পরিচয় করে দেব।

এছাড়া প্রতিটি মেনুতে, কি কি কাজ করতে হয়। সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণাও পেয়ে যাবেন। তা চলুন প্রথমে, এমএস ওয়ার্ড এর মেনোবার সমূহ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

  • অফিস বাটন/ ফাইল - Office Button/ File মেনু।
  • হোম/ Home মেনু।
  • ইনসার্ট/ Insert মেনু।
  • পেজ লেআউট/ Page Layout মেনু।
  • মেইলিং/ Mailings মেনু।
  • রিভিউ/ Review মেনু।
  • ভিউ/View মেনুন।
উক্ত তালিকায় যে, মেনুবার গুলো দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো নিয়ে মূলত এম এস ওয়ার্ডে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এখানে প্রতিটি মেনুর কাজ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

তো এম এস ওয়ার্ডের এই কোন মেনু গুলো দিয়ে কোন কোন কাজ করা হয়। সে বিষয়ে জানতে নেচে দেওয়া তথ্য গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। 

অফিস বাটন/ ফাইল - Office Button/ File


আপনারা এমএস ওয়ার্ডের কাজ করার সময় প্রথমে যে, মেনু পার্টি পাবেন সেটি হচ্ছে, অফিস বাটন বা ফাইল মেনু নামে। 

এই মেনুতে আপনাকে মূলত, বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তো এই মেনুতে কি কি কাজ রয়েছে, সে বিষয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক। 


তো চলুন এ বিষয়ে ধাপে ধাপে জানা যাক।

New : এর মাধ্যমে নতুন ডকুমেন্ট নিতে পারবেন। (কিবোর্ডের সাহায্যে শর্টকাট Ctrl + N)

Open : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ডে সেভ করা ফাইল খোঁজে বের করে চালু করতে পারবেন। (কিবোর্ডের সাহায্যে শর্টকাট Ctrl + O)

Save : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ডে টাইপিং করা যে কোনো ডকুমেন্ট নাম দিয়ে সেভ করতে পারবেন। (কিবোর্ডের সাহায্যে শর্টকাট Ctrl + S)

Save As : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড এর যেকোনো সেভ করা ডকুমেন্ট এ পাসওয়ার্ড দিতে পারবে। 

তার জন্য আপনাকে যেতে হবে, Office Button + Tools + General Option + Password to Open +  OK + Conform Password + Save.

Print : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড ডকুমেন্টে টাইপ করা যেকোনো ফাইল সহজেই প্রিন্ট করা যায়। প্রিন্ট করতে চাইলে আপনারা তিনটি উপায়ে প্রিন্ট করতে পারবেন। যেমন- All, Current Page, Pages. (কিবোর্ডের সাহায্যে শর্টকাট Ctrl + P)

Print Preview : এর মাধ্যমে এমএস ওয়ার্ডের যে কোন ফাইল প্রিন্ট করার আগে পড়বার অবস্থা জানতে পারবেন। (কিবোর্ডের সাহায্যে শর্টকাট Ctrl + F2)

হোম/ Home 


আপনারা হোমেনের মাধ্যমে, এম এস ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। সেগুলো আমরা এখন আপনাকে ধাপে ধাপে জানিয়ে দেব। 


তো চলুন, হোম মেনুর কাজগুলো একে একে দেখে নেয়া যাক। 

Clipboard : এই মেনুর মাধ্যমে আপনারা তিনটি কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবেন। এম এস ওয়ার্ডে লেখালেখি করার সময়, অনেক ওয়ার্ড বা লাইন কাট করার প্রয়োজন হয়, আবার কপি করা প্রয়োজন হয়। 

কার্ট করা ওয়ার্ড বা সেন্টেন্স গুলো বিভিন্ন জায়গায় যুক্ত করার জন্য পেস্ট করতে হয়। তো এখানে তিনটি মূল কাজ হচ্ছে- (Cut, Copy & Paste).

Font (1) : এই মেনুর মাধ্যমে অনেক ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করা হয়। তার মধ্যে প্রথমত, Calibri (Body) হচ্ছে, একটি ভাষার নাম। 

তবে আপনি যদি অফিসিয়াল ভাবে ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য এম এস ওয়ার্ডে লেখালেখি করেন। 

সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজি লেখার জন্য Calibri (Body) এই ভাষা পরিবর্তন করে, Time New Roman সিলেক্ট করতে হবে। আর বাংলা লেখার জন্য আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে SutonnyMJ.

Font (2) :  Calibri (Body) এই লেখার ডানপাশে যে সংখ্যা দেখতে পারছেন। এটিকে বলা হয় ফন্ট সাইজ। মানে লেখার সাইজ। অফিশিয়াল কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই 12 থেকে 14 সাইজ ফ্রন্ট দিয়ে লিখতে হবে। 

Font (3) : B, I, U যে তিনটি অপশন দেখতে পারছেন এগুলোর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ডে লেখালেখি করার সময় বিভিন্ন লাইনে বা ওয়ার্ডে ব্যবহার করতে হয়।
  • এখানে মানে বোঝানো হয়েছে Bold
  • এখানে মানে বোঝানো হয়েছে Italic
  • এখানে U মানে বোঝানো হয়েছে Underline
Font (4) : Aa এই চিহ্ন কে বলা হয় Chang Case (চেমস্কেচ)। এটির মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড ফাইলে, ইংরেজি লেখার সময় সব অক্ষর যদি ছোট হাতের হয়। 

সেগুলো অটোমেটিকলি বড় হাতের করতে পারবেন। আবার সবগুলো ছোট হাতের থাকলে, অটোমেটিক বড় হাতের করতে পারবেন। 

Font (5) : Font Color (A চিহ্নের নিচে লাল তারকা) ড্রপটাউনে ক্লিক করে, এমএস ওয়ার্ডের যেকোনো লেখা রঙিন করতে পারবেন।

Paragraph (1) : Bullets ... ফুটা-ফুটা চিহ্ন, সংখ্যা এর মাধ্যমে এমএস ওয়ার্ড ফাইলে লেখালেখি করার সময় বিভিন্ন চিহ্ন দিয়ে লেখা যায় এবং বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে লেখা যায়। যেমন- →, i, ii, iii/ 1,2,3, Aa Ba Cc ইত্যাদি।

Paragraph (2) : ... ফুটা-ফুটা চিহ্ন, সংখ্যা নিচে যে অংশটি দেখতে পারছেন। যা উপরে ছবিতে দিয়েছি।

সেখানে কয়েকটি মেনু দেওয়া রয়েছে। সেগুলো দাগ-দাগ চিহ্ন দিয়ে বোঝানো। সে চারটি মেনুর নাম হচ্ছে-
1. Left 2. Righ 3. Center 4. Justify.

Paragraph (3) : দাগ-দাগ চিহ্ন গুলোর পাশে, আরও একটি ড্রপডাউন দেওয়া থাকবে সেটিকে বলা হয় লাইন স্পেসিং। যা ব্যবহার করে, এম এস ওয়ার্ড ফাইলের প্রতিটি লাইন বাই লাইন space কমানো এবং বাড়ানো যায়। 

Paragraph (3) : লাইনে স্পেসিং এর পরে যে অপশনটি রয়েছে, সেটিকে শেডিং বলা হয়। 

যা ব্যবহার করে এমএস ওয়ার্ড ফাইলে কোন ওয়ার্ড বা লাইন সিলেক্ট করে, লেখার ব্যাক সাইট কালার করতে পারবেন। 

ইনসার্ট/ Insert 


উপরোক্ত কাজগুলো সম্পন্ন বুঝতে পারলে এখন আমরা পরবর্তী একটি মেনুতে যাব সেটি হচ্ছে, ইনসার্ট।

এটি ব্যবহার করে এম এস ওয়ার্ড এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো সম্পন্ন করা হয়। 


তো চলুন এখন এই মেনু সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া যাক।

Pages : Blank page এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড ফাইলে, কাজ করার সময় আপনার যদি একাধিক পেজ প্রয়োজন হয়। 

তাহলে Blank page যতবার ক্লিক করবেন ততবার একটি করে পেস্ট নিচে নিচে তৈরি হয়ে যাবে। 

Tables : Table এর মাধ্যমে আপনারা এম এস ওয়ার্ড পেইজে যেকোনো ধরনের ছক / টেবিল বানাতে পারবেন।  

Picture : এর মাধ্যমে আপনারা এমএস ওয়ার্ড পেজে যে কোন ছবি সংযুক্ত করতে পারবেন। 

বিশেষ করে আপনি যদি এমএস ওয়ার্ড কোন সিভি তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির ছবি দরকার হবে। 

তাই আপনার কম্পিউটারে ব্যক্তির ছবি সংরক্ষিত করে, পিকচার বাটনে ক্লিক করলে নির্দিষ্ট জায়গায় পিকচার যুক্ত করতে পারবেন। 


Shapes : এর মাধ্যমে আপনারা এমএস ওয়ার্ড ফাইলে লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ড্রয়িং/ অংকন করতে পারবে। 

Header & Footer : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড পেজের উপরের অংশে এবং পেজের সর্বশেষ নিচের অংশে, বিভিন্ন সেন্টেন্স যুক্ত করতে পারবেন। বিশেষ করে, পেজ নম্বর এবং তারিখ যুক্ত করতে পারবেন। 

Text Box : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড পেইজে কোন ওয়ার্ড বা সেন্টেন্স গুলো বক্সের ভিতরে লেখা প্রয়োজন হয় সেটি সম্পন্ন করতে পারবে। 

Quick parts : এর মাধ্যমে, এম এস ওয়ার্ড পেজে আপনারা গণিত/ অংক করতে পারবেন। 

বিশেষ করে, এই মেনু ব্যবহার করে আপনারা স্কুল-কলেজ এর গণিত প্রশ্ন টাইপিং করতে পারবেন। 

এমএস ওয়ার্ড গণিত অংক টাইপিং করতে, Quick parts + Eq + Equation Editor ক্লিক করলে, এমএস ওয়ার্ডে গাণিতিক যাবতীয় সূত্র লেখার জন্য একটি ফরমেট চলে আসবে।

সেখান থেকে আপনারা অংকের ফর্মুলা টাইপ করতে পারবেন। 

WordArt : এ মেনু ব্যবহার করে, আপনারা এম এস ওয়ার্ডে বিভিন্ন লেখার ডিজাইন করতে পারবেন। 

DropCap : আপনি যদি এম এস ওয়ার্ড পেজে কোন পত্রিকায় লেখার কাজ করেন। তাহলে পত্রিকা লেখার সময় লেখা শুরুতে প্রথম অক্ষরটি বড় করে লিখতে হয়। 

তো এই কাজ করার জন্য আপনার লাইনের শুরুর অক্ষর সিলেক্ট করে, DropCap অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে অক্ষরটি বড় হয়ে যাবে। 

Date & Time : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড এর যে, কোন পেজে তারিখ এবং সময় যুক্ত করতে পারবেন। 

Symbol : এর মাধ্যমে কম্পিউটার কিবোর্ডে যে, অক্ষর বা চিহ্নগুলো টাইপ করা যায় না সেগুলো আপনারা সিম্বলের মাধ্যমে কালেক্ট করতে পারবেন। যেমন- ®,©,→ ইত্যাদি।

পেজ লেআউট/ Page Layout


এখন আমরা আপনাকে জানাবো এমএস ওয়ার্ড এর গুরুত্বপূর্ণ একটা মেনুর বিষয়ে। 

এর মাধ্যমে আপনারা এম এস ওয়ার্ডে লেখালেখি কার সম্পন্ন করার পর পেজ সেটআপ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। সেগুলো জানতে, নিজে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন। 


যে কাজ গুলো সঠিকভাবে করলে আপনার এম এস ওয়ার্ড কাজ সম্পন্ন হবে। 

Margins : এর মাধ্যমে আপনারা এম এস ওয়ার্ড ডকুমেন্ট। পেজ সেটআপ করতে পারবেন। 

আর সেটআপ করার কিছু নিয়ম আছে। পেজ সেটআপ করার নিয়ম হলো তিনটি। যথা-


  • লম্বালম্বি পেজ setup : Top = 1", Right = 0.5", Left = 1", Bottom = 0.5"
  • আরাআরি (পাতালি) পেজ setup : Top = 0.5", Right = 0.5", Left = 0.5", Bottom = 0.5
  • দলিল (স্ট্যাম্প) পেজ setup : 4", Right = 1", Left = 1", Bottom = 1"
Columns : এর মাধ্যমে এমএস ওয়ার্ডের ডকুমেন্ট কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। 

বিশেষ করে, যখন নৈবিত্তিক প্রশ্ন করা হয়। তখন এই ধরনের Columns করে পেজ ভাগ করতে হয়। 

Page Color : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ডের পেজের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার পরিবর্তন করতে পারবেন। 

Watermark : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড পেজে, জল ছাপ আকারে টেক্সট এবং ইমেজ ব্যবহার করা যায়।

Page Borders : এর মাধ্যমে এমাস ওয়ার্ড পেজের চারপাশে, বাউন্ডারি যুক্ত করা যায় আবার আপনি চাইলে ডিজাইন করেও পেজের বাউন্ডারি যুক্ত করতে পারবেন। 

মেইলিং/ Mailings



Envelopes : এই মেনু ব্যবহার করে, আপনারা এম এস ওয়ার্ড পেইজে চিঠির খাম তৈরি করতে পারবেন।

রিভিউ/Review


Spelling & Grammar : এই মেনু ব্যবহার করে, এম এস ওয়ার্ডে ইংরেজি ভাষার সঠিক ওয়ার্ড খুঁজে বের করা যায়। 

Word Count : এই মেনু ব্যবহার করে, এম এস ওয়ার্ড পেইজে কত গুলো, ওয়ার্ড রয়েছে, কত মিনিট এই ডকুমেন্ট এ কাজ করা হয়েছে আরো ইত্যাদি তথ্য গুলো জেনে নেয়া যায়। 

Protect document : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড পেজে পাসওয়ার্ড যুক্ত করা যায়। যা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও পেজে প্রবেশ করা যাবে। কিন্তু কোন প্রকার এডিট করা যাবে না। 

ভিউ/ View



Ruler : এর মাধ্যমে এম এস ওয়ার্ড পেইজে রুলার/ স্কেল সংযুক্ত করা যায়। 

Zoom : এই মেনুবার ব্যবহার করে, এম এস ওয়ার্ডের পেজ ছোট এবং বড় করে দেখা যায়। আমরা জানি এমএস ওয়ার্ড ডকুমেন্টের অরিজিনাল জমসাইজ হচ্ছে 100%। 

শেষ কথাঃ


তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলা ভাষায় নিজের ঘরে বসে এম এস ওয়ার্ড এর কাজ শিখতে চেয়েছিলেন। 

তারা উপরোক্ত আর্টিকেল অনুসরণ করে, নিজের ঘরে বসে এম এস ওয়ার্ড এর কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। 

কারণ আমরা এই আর্টিকেলটি একদম বিনামূল্যে আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে প্রস্তুত করেছি। 

ট্যা*গ*স- এমএস ওয়ার্ড এর কাজ | MS Word Tutorial in Bengali, এমএস ওয়ার্ড এর কাজ | MS Word Tutorial in Bengali, এমএস ওয়ার্ড এর কাজ | MS Word Tutorial in Bengali, এমএস ওয়ার্ড এর কাজ | MS Word Tutorial in Bengali এমএস ওয়ার্ড এর কাজ | MS Word Tutorial in Bengali, এমএস ওয়ার্ড টিউটোরিয়াল বাংলা, মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড এর কাজ কি?

শুধুমাত্র আপনাদের কাছে একটি মাত্র চাওয়া। আমাদের লেখা এই এম এস ওয়ার্ড এর কাজ আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ